মুখোরোচক একটি খাবাব হলো মুগ ডালের পাঁপড়, যা খাবারের বৈচিত্র্যতায় যুক্ত করেছে এক অনন্য মাত্রা। বৃষ্টিস্নাত দিনে গরম গরম খিচুড়ির সাথে মুগ ডালের পাঁপড় ভাজা- আহা! আর কি চাই।
মুগডালের পাঁপড় |
সুগন্ধি চালের পাশাপাশি দিনাজপুর জেলা পাঁপড়ের জন্যও বিখ্যাত। এখানকার মুগ, খেসারি ও বেসনের তৈরি পাঁপড়ের কথা মোটামুটি সবার-ই জানা। অনন্য স্বাদ এবং মুখোরোচক হওয়ার কারণে দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে।
উৎকৃষ্ট মানের চাল ও ডালের মিহি গুড়া/ময়দা হলো পাঁপড় তৈরির মূল উপকরণ। প্রথমে, উৎকৃষ্ট মানের মুগ ও মাসকলাই ডাল সমপরিমাণে একসাথে মিশিয়ে মেশিনের মাধ্যমে ভেঙ্গে গুঁড়া করে নিতে হবে। তারপরে, পরিমাণমতো জল ফুটিয়ে নিয়ে ক্রমান্বয়ে এতে লবণ, জিরা, কালোজিরা, গোল মরিচের গুড়া, দৈ, খাবার সোডা, হিং ও আমচুর দিয়ে মূল মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এরপর, সমান পরিমাণে মুগ ও মাসকলাই ডালের মিহি গুড়া/ময়দা নিয়ে, তাতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ঠান্ডা জল যোগ করে ৭-৮ মিনিট ধরে ডললে পাঁপড় তৈরির উপযুক্ত মন্ড তৈরি হবে।
এবার, পাঁপড় তৈরির মন্ডটিকে লম্বালম্বি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে সুতা দিয়ে কেটে নিতে হবে। মসৃণ গোলাকার কাঠের পিঁড়ি পাঁপড় বেলার জন্য আদর্শ। এই পিঁড়িতে বেলনা দিয়ে চাপ দিয়ে কয়েকবার এপিঠ ওপিঠ করলে পাঁপড় তৈরি হয়ে যাবে। প্রথমে, কাঁচা পাঁপড়গুলি ২০-২৫ মিনিট কড়া রোদে এবং পরবর্তীতে সারাদিন হালকা রোদে শুকানোর পর ঠান্ডা করতে হবে। পরে এগুলো ঠান্ডা হলে প্যাকেটে ভরে ভালভাবে মুখ বন্ধ করে ৮-১০ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। এছাড়া, একটি ভালো বায়ুনিরোধক কৌটার মধ্যে পাঁপড় রেখে হিমায়ক যন্ত্রে(ফ্রিজে) অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
মুগডালের পাঁপড় |
আমরা মূলত বাসার তৈরি মুগডালের পাঁপড় সংগ্রহ করে থাকি। এই পাঁপড়গুলো স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তৈরি।
মূল্য:
No comments:
Post a Comment