সরিষার তেল তৈরি হয় সরিষার বীজ থেকে। আমাদের দেশে এখন মাঘী, শ্বেতী, রাই এবং বারি-১৪ হাইব্রিড সরিষা- এই চার ধরনের সরিষা আবাদ করা হয়। এগুলোর মধ্যে মাঘী এবং শ্বেতী সরিষার তেল অপেক্ষাকৃত ভালো মানের।
খাঁটি সরিষার তেল |
প্রাচীন বাংলায় সরিষার তেল ছিল সর্বসাধারণের একমাত্র ভোজ্যতেল। সরিষার তেল তাই আমাদের ঐতিহ্যের সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে। নানান স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এই তেল ভারতীয় উপমহাদেশে খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে।
সরিষা দানা |
প্রাচীনকালে গরু দিয়ে টানা কাঠের ঘানিতে সরিষা বীজ থেকে তেল নিষ্কাশন করা হতো। শ্রম, সময় এবং কষ্টসাপেক্ষ হওয়ার কারণে প্রাচীন এই পদ্ধতি থেকে অনেকেই সরে এসেছেন। উপকারী হওয়া সত্বেও এ পদ্ধতিতে নিষ্কাশিত তেলের মূল্যও বেশ চড়া! শুধুমাত্র বংশ পরম্পরায় অনেকে এই পদ্ধতি ধরে রেখেছেন। বর্তমানে প্রাচীন ঘানি‘র স্থান দখল করেছে যন্ত্রচালিত কাঠের ঘানি, লোহার স্পেলার মেশিন। এই যন্ত্রগুলো দিয়ে প্রাচীন পদ্ধতির তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম সময়ে বেশি পরিমাণ তেল নিষ্কাশন করা যায় এবং উৎপাদন খরচও কম হয় বলে দিন দিন এসব যন্ত্রে উৎপাদিত তেলের চাহিদা বাড়ছে।
সরিষা তেল গাঢ় হলুদ বর্ণের এবং কড়া স্বাদ ও শক্তিশালী সুবাসযুক্ত। গবেষণালব্ধ বিভিন্ন সূত্র হতে জানা যায় যে, ওমেগা আলফা-৩ ও ওমেগা আলফা-৬, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন- ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস সরিষার তেল। এজন্য সরিষার তেলকে স্বাস্থ্যকর তেল বলা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ভোজ্য তেলের ওপর করা একটি তুলনামূলক সমীক্ষায় দেখা যায়, সরিষার তেল ৭০ শতাংশ হৃৎপিন্ড–সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়। সরিষার তেল ব্যবহারে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়, যা হৃদরোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। নানান রকম ভেজাল তেলের ভীড়ে হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী এই তেলের ব্যবহার প্রায় কমেই গিয়েছিল। বর্তমানে, স্বাস্থ্যসচেতনতার কারণে এই তেলের চাহিদা পুনরায় বাড়ছে।
খাঁটি সরিষার তেল |
আমরা সরাসরি উৎপাদকের নিকট হতে দেশী সরিষা বীজ কিনে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বাসার মেশিনে, বড় মিলে এবং কাঠের ঘানিতে ভাঙিয়ে তেল সংগ্রহ করে থাকি। এতে কোন প্রকার কৃত্রিম রং,গন্ধ এবং রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত নেই, তাই এই তেল সম্পূর্ণ খাঁটি এবং নিরাপদ!
খাঁটি সরিষার তেল |
আপনার ফরমায়েশ জানানোর পরেই তেল প্রস্তুত করা হবে। সুতরাং, আপনার কাছে যেটা যাবে সেটা থাকবে একদম সতেজ।।
মূল্য:
মেশিনে ভাঙানো : গরুর ঘানিতে ভাঙানো: